Back to Social ScienceDownload Chapter PDF
ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন ইতিহাস ধারা (প্রথম পর্যায়)
Ancient history of the Indian subcontinent
Class VI
Social Science
136 Questions
MCQ
1 marks
হরপ্পা সভ্যতার বাড়িঘরগুলি তৈরি হত
Options:
a) পাথর দিয়ে
b) পোড়া ইট দিয়ে
c) কাঠ দিয়ে
d) মাটি দিয়ে
Answer:
হরপ্পা সভ্যতার বাড়িঘরগুলি তৈরি হত পোড়া ইট দিয়ে।
MCQ
1 marks
হরপ্পা সভ্যতা ছিল __________ সভ্যতা।
Options:
a) পাথরের যুগের
b) লোহার যুগের
c) তামা ও ব্রোঞ্জ যুগের
d) সোনার যুগের
Answer:
হরপ্পা সভ্যতা ছিল তামা ও ব্রোঞ্জ যুগের সভ্যতা।
MCQ
1 marks
হরপ্পা সভ্যতা ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের __________।
Options:
a) প্রথম নগর
b) দ্বিতীয় নগর
c) তৃতীয় নগর
d) চতুর্থ নগর
Answer:
হরপ্পা সভ্যতা ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম নগর সভ্যতা।
SHORT
2 marks
আদিম মানুষ কীভাবে সভ্য হয়ে উঠেছে?
Answer:
নিজের বুদ্ধি আর পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে আদিম মানুষ সভ্য হয়ে উঠেছে।
SHORT
2 marks
কবে থেকে মানুষ জোট বাঁধতে শুরু করেছিল?
Answer:
পাথরের যুগ থেকে মানুষ জোট বাঁধতে শুরু করেছিল।
SHORT
2 marks
কীভাবে শুরু হয় জমির জন্য লড়াই?
Answer:
স্থায়ী বসতবাড়ি ও চাষের জন্য জমির চাহিদা বাড়ে ফলে শুরু হয় জমির জন্য লড়াই।
SHORT
2 marks
বর্ণ বা লিপির প্রয়োজন হয়েছিল কেন?
Answer:
মানুষের লেখার জন্য বর্ণ বা লিপির প্রয়োজন হয়েছিল।
SHORT
2 marks
সভ্যতার সব থেকে বড় মাপকাঠি কি?
Answer:
লিপির ব্যবহার সভ্যতার সব থেকে বড় মাপ কাঠি।
SHORT
2 marks
কবে ভারতীয় উপমহাদেশে নগর সভ্যতা গড়ে উঠল?
Answer:
খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় সহস্রাব্দে।
SHORT
2 marks
সভ্যতা গড়ে ওঠার একটি শর্ত লেখো।
Answer:
সভ্যতা গড়ে উঠতে গেলে সেখানে শহর বা গ্রাম গড়ে উঠতে হবে।
SHORT
2 marks
মানুষের নানা ভাগ তৈরি হল কীভাবে?
Answer:
নানা কাজের বিচারে মানুষের নানা ভাগ তৈরী হল।
SHORT
2 marks
প্রাচীন ভারতের দুটি সভ্যতার নাম লেখো।
Answer:
মেহেরগড় সভ্যতা ও হরপ্পা সভ্যতা।
SHORT
2 marks
শাসক গোষ্ঠী কারা?
Answer:
যারা গোটা সমাজকে শাসন করত তাদের বলা হয় শাসক গোষ্ঠী।
SHORT
2 marks
আদিম গোষ্ঠীসমাজে পুঁতি বানানোর কারিগরকে কাদের ওপর নির্ভর করতে হত?
Answer:
আদিম গোষ্ঠীসমাজে পুঁতি বানানোর কারিগরকে ব্রোঞ্জের কারিগর এবং কুমোরের ওপরে নির্ভর করতে হত।
SHORT
2 marks
তামা- পাথরের যুগ কাকে বলে?
Answer:
নতুন পাথরের যুগের শেষে মানুষ তামা ও পাথর দুটিই ব্যবহার করত, তাই সেই যুগকে তামা- পাথরের যুগ বলা হয়।
SHORT
2 marks
ভারতের প্রাচীনতম সভ্যতার নাম কী?
Answer:
মেহেরগড় সভ্যতা।
SHORT
2 marks
মেহেরগড় সভ্যতায় কোন্ দুই ধাতুর ব্যবহার হত এবং কোন্ ধাতুর ব্যবহার হত না?
Answer:
মেহেরগড় সভ্যতায় তামা ও কাঁসার ব্যবহার হত এবং লোহার ব্যবহার হত না।
SHORT
2 marks
কোথায় মেহেরগড় সভ্যতার খোঁজ পাওয়া গেছে?
Answer:
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে বোলান গিরিপথ থেকে খানিকটা দূরে মেহেরগড় সভ্যতার খোঁজ পাওয়া গেছে।
SHORT
2 marks
কবে মেহেরগড় সভ্যতা আবিষ্কৃত হয়েছিল?
Answer:
১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে।
SHORT
2 marks
মেহেরগড় সভ্যতা কে আবিষ্কার করেছিলেন?
Answer:
জাঁ ফ্রাসোয়া জারিজ।
SHORT
2 marks
জাঁ ফ্রাসোয়া জারিজ কে?
Answer:
জঁ ফ্রাসোয়া জারিজ ছিলেন একজন ফরাসি প্রত্নতাত্ত্বিক যিনি মেহেরগড় সভ্যতা আবিষ্কার করেন।
SHORT
2 marks
মেহেরগড় সভ্যতার প্রথম পর্বের সময়কাল লেখ।
Answer:
মেহেরগড় সভ্যতার প্রথম পর্বের সময়কাল, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৭০০০ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ অব্দ পর্যন্ত।
SHORT
2 marks
উপমহাদেশে সবথেকে পুরোনো শস্য মজুত রাখার বাড়ি পাওয়া গেছে কোথায়?
Answer:
মেহেরগড়ে।
SHORT
2 marks
পৃথিবীতে সবথেকে পুরোনো কার্পাস চাষের নমুনা কোথায় পাওয়া গেছে?
Answer:
পৃথিবীতে সবথেকে পুরোনো কার্পাস চাষের নমুনা পাওয়া গেছে মেহেরগড়ে।
SHORT
2 marks
পুরোনো পর্যায়ে মেহেরগড়ের কয়েকটি গৃহপালিত পশুর নাম লেখো।
Answer:
পুরোনো পর্যায়ে মেহেরগড়ের কয়েকটি গৃহপালিত পশুর নাম হল ছাগল, ভেড়া, কুঁজওয়ালা ষাঁড়।
SHORT
2 marks
ভারতীয় উপমহাদেশের বাড়িগুলিতে প্রথম রোদে পোড়ানো ইটের ব্যবহার কোথায় দেখা যায়?
Answer:
মেহেরগড় সভ্যতায়।
SHORT
2 marks
মেহেরগড় সভ্যতা ছিল মূলত কি জাতীয় সভ্যতা?
Answer:
মেহেরগড় সভ্যতা প্রধানত কৃষি নির্ভর সভ্যতা।
SHORT
2 marks
মেহেরগড় সভ্যতার দ্বিতীয় পর্বের সময়কাল লেখ।
Answer:
মেহেরগড় সভ্যতার দ্বিতীয় পর্বের সময়কাল আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৪০০০ অব্দ পর্যন্ত।
SHORT
2 marks
এই পর্যায়ে কীভেবে মাটির পাত্র তৈরি হত?
Answer:
মেহেরগড় সভ্যতার দ্বিতীয় পর্যায়ে মাটির পাত্রগুলি হাতে তৈরী করা হত।
SHORT
2 marks
মেহেরগড় সভ্যতার কোন্ পর্বে কুমোরের চাকার ব্যবহার শুরু হয়েছিল?
Answer:
দ্বিতীয় পর্বে।
SHORT
2 marks
মেহেরগড় সভ্যতার গয়নাগুলি কি দিয়ে তৈরী করা হত?
Answer:
নানা রকম পাথর ও শাঁখ দিয়ে মেহেরগড় সভ্যতার গয়নাগুলি তৈরী করা হত।
SHORT
2 marks
মেহেরগড় সভ্যতার তৃতীয় পর্বের সময়কাল লেখ।
Answer:
মেহেরগড় সভ্যতার তৃতীয় পর্বের সময়কাল আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৪৩০০ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৩৮০০ অব্দ পর্যন্ত।
SHORT
2 marks
মেহেরগড় সভ্যতায় মৃতদেহকে কোন রঙের কাপড় জড়িয়ে সমাধি দেওয়া হত?
Answer:
লাল রঙের।
SHORT
2 marks
মেহেরগড় সভ্যতা কোন্ নদীকে ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল?
Answer:
বালুচিস্তান প্রদেশের ঝোব নদীকে।
SHORT
2 marks
হরপ্পা সভ্যতার হরপ্পা কেন্দ্রটি কবে আবিষ্কৃত হয়?
Answer:
১৯২১ খ্রিস্টাব্দে।
SHORT
2 marks
কে হরপ্পা সভ্যতায় খোঁড়াখুড়ি শুরু করেছিলেন?
Answer:
দয়ারাম সাহানি।
SHORT
2 marks
হরপ্পা সভ্যতার মহেনজোদাড়ো কেন্দ্রটি কবে আবিষ্কৃত হয়?
Answer:
১৯২২ খ্রিস্টাব্দে।
SHORT
2 marks
কে মহেনজোদাড়ো আবিষ্কার করেন?
Answer:
রাখালদাস বন্দোপাধ্যায়।
SHORT
2 marks
আলেকজান্ডার কানিংহাম নাম কোন সভ্যতার আবিষ্কারের সঙ্গে জড়িয়ে আছে?
Answer:
হরপ্পা সভ্যতা।
SHORT
2 marks
একটি তামা-ব্রোঞ্জ যুগের ভারতীয় সভ্যতার নাম লেখো।
Answer:
হরপ্পা সভ্যতা।
SHORT
2 marks
আলেকজান্ডার কানিংহাম কে ছিল?
Answer:
ব্রিটিশ ভারতের প্রত্নতত্ত বিভাগের প্রধান।
SHORT
2 marks
কে হরপ্পা ও মহেঞ্জোদাড়ো সম্বন্ধে বিস্তারিত বিবরণ পেশ করেন?
Answer:
জন মার্শাল।
SHORT
2 marks
কবে হরপ্পা সভ্যতা ধ্বংস হয়েছিল বলে মনে করা হয়?
Answer:
আনুমানিক ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে।
SHORT
2 marks
হরপ্পা সভ্যতাকে প্রায় ইতিহাস যুগের সভ্যতা বলা হয় কেন?
Answer:
হরপ্পা সভ্যতার লোকেরা লিখতে জানলেও সেই লেখা আজও পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয় নি। তাই একে প্রায় ইতিহাস যুগের সভ্যতা বলা হয়।
SHORT
2 marks
উত্তর দিকে হরপ্পা সভ্যতা কতদূর পর্যন্ত গড়িয়ে পড়েছিল?
Answer:
জম্মুর মান্ডা এই সভ্যতার উত্তর সীমা।
SHORT
2 marks
হরপ্পা সভ্যতার পশ্চিম সীমা কি?
Answer:
পাকিস্তানের বালুচিস্তান।
SHORT
2 marks
হরপ্পা সভ্যতার পুর্ব সীমা কি?
Answer:
পূর্বে আলমগীর পর্যন্ত।
SHORT
2 marks
দক্ষিণ দিকে হরপ্পা সভ্যতা কতদূর পর্যন্ত গড়িয়ে পড়েছিল?
Answer:
গুজরাটের কচ্ছ অঞ্চল পর্যন্ত।
SHORT
2 marks
কতটা অঞ্চল জুড়ে হরপ্পা সভ্যতা বিস্তার লাভ করেছিল?
Answer:
প্রায় ৭ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার।
SHORT
2 marks
হরপ্পা সভ্যতা কোন ধরনের সভ্যতা?
Answer:
নগরকেন্দ্রিক সভ্যতা।
SHORT
2 marks
হরপ্পা সভ্যতার প্রতিটি বাড়িতে ক-টি করে রান্নাঘর থাকত?
Answer:
একটি করে।
SHORT
2 marks
কে প্রথম হরপ্পা উপত্যকায় প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন খুঁজে পান?
Answer:
চার্লস ম্যাসন।
SHORT
2 marks
হরপ্পা কোথায় অবস্থিত?
Answer:
পাঞ্জাবের মন্টেগোমারি জেলায় (বর্তমানে পাকিস্তান)।
SHORT
2 marks
হরপ্পা কথাটির মানে কী?
Answer:
পশুপাখির খাবার।
SHORT
2 marks
মহেনজোদারো কোথায় অবস্থিত?
Answer:
সিন্ধুপ্রদেশের লারকানা জেলায় (বর্তমানে পাকিস্তানে)।
SHORT
2 marks
সিটাডেল কথাটির মানে কী?
Answer:
উঁচু এলাকা।
SHORT
2 marks
হরপ্পা সভ্যতায় কোন কেন্দ্রে কোন সিটাডেল ছিল না?
Answer:
চানহুদারোতে।
SHORT
2 marks
হরপ্পা সভ্যতায় পাঁচিল দিয়ে ঘেরা উঁচু কক্ষগুলিকে কী বলা হত?
Answer:
সিটাডেল।
SHORT
2 marks
সিটাডেলটি নগরের কোন অঞ্চলে থাকতো?
Answer:
নগরের উত্তর বা উত্তর পশ্চিম দিকে।
SHORT
2 marks
নগরের নীচু বসতি এলাকা কোথায় থাকত?
Answer:
নগরের পূর্ব বা দক্ষিণ পূর্ব অংশে।
SHORT
2 marks
হরপ্পায় কোন কোন স্থানে ফটক ছিল?
Answer:
নগরের উত্তর ও পশ্চিম দিকে দুটি ঢোকা ও বেরোনোর ফটক ছিল।
SHORT
2 marks
সিন্ধুর অধিবাসীরা কোন্ ধাতুর ব্যবহার জানত না?
Answer:
লোহার।
SHORT
2 marks
হরপ্পা সভ্যতার কোথায় স্নানাগার আবিষ্কার করা হয়েছে?
Answer:
মহেনজোদারো-তে।
SHORT
2 marks
মহেন-জো-দারোর স্নানাগারটি কারা ব্যবহার করতেন?
Answer:
নগরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
SHORT
2 marks
হরপ্পায় শস্য রাখার বাড়িটি কেমন ছিল?
Answer:
হরপ্পায় শস্য রাখার বাড়িটির ভেতরে ছিল দুই সারিতে ভাগ করা মোট বারোটা তাক।
SHORT
2 marks
কোন গাছকে সিন্ধুবাসীরা দেবতারূপে পুজো করত?
Answer:
অশ্বত্থ।
SHORT
2 marks
হরপ্পা সভ্যতার বড়ো শস্যাগার কোথায় ছিল?
Answer:
হরপ্পা ও মহেনজোদারো-তে।
SHORT
2 marks
ঢোলাবিরা বিখ্যাত কেন?
Answer:
হরপ্পা সভ্যতার একটি কেন্দ্র।
SHORT
2 marks
হরপ্পার প্রধান প্রশাসক কে ছিলেন বলে অনুমান করা হয়?
Answer:
একজন পুরোহিত-রাজা।
SHORT
2 marks
মেসোপটেমিয়ায় কতকগুলি হরপ্পার সিলমোহর পাওয়া গেছে?
Answer:
২৩টি।
SHORT
2 marks
মহেনজোদারোর স্নানাগারটির আয়তন উল্লেখ করো।
Answer:
১৮০ ফুট ১০৮ ফুট।
SHORT
2 marks
হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা কোন্ ধাতুর ব্যবহার জানত না?
Answer:
লোহার।
SHORT
2 marks
হরপ্পা সভ্যতার রাস্তাঘাটিগুলির বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
Answer:
পাকা, চওড়া ও সোজা।
SHORT
2 marks
হরপ্পা সভ্যতার কোন কেন্দ্রে ধানের চিহ্ন পাওয়া গেছে?
Answer:
গুজরাটের রংপুর ও লোথালে।
SHORT
2 marks
হরপ্পা সভ্যতার কোথায় লাঙলের ফলার দাগ পাওয়া গেছে?
Answer:
রাজস্থানের কালিবঙ্গানে।
SHORT
2 marks
হরপ্পা সভ্যতার মানুষেরা কোন পশুর ব্যবহার জানত না?
Answer:
ঘোড়ার।
SHORT
2 marks
সিন্ধুর অধিবাসীরা কোন কোন ধাতুর ব্যবহার জানত?
Answer:
তামা, কাঁসা, ব্রোঞ্জের।
SHORT
2 marks
হরপ্পা সভ্যতায় কীসের তৈরি চিরুনি আবিষ্কৃত হয়েছে?
Answer:
হাতির দাঁতের।
SHORT
2 marks
হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা কোন্ ফসলের চাষ জানত না?
Answer:
ধান (রংপুর ও লোথাল ছাড়া)।
SHORT
2 marks
হরপ্পার সিলমোহরগুলি থেকে কোন্ কোন্ বিষয় সম্পর্কে জানা যায়?
Answer:
অর্থনীতি, ব্যাবসা ও ধর্ম।
SHORT
2 marks
লোথাল শব্দের অর্থ কী?
Answer:
গুজরাটি ভাষায় মৃতের স্থান।
SHORT
2 marks
কৃষিকাজ আদিম মানুষের জীবনে কী পরিবর্তন এনেছিল?
Answer:
স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শিখিয়েছিল।
SHORT
2 marks
হরপ্পা সভ্যতার সমসাময়িক দুটি সভ্যতার নাম বল।
Answer:
মিশরীয় ও সুমেরীয়।
SHORT
2 marks
হরপ্পা সভ্যতার সঙ্গে জলপথে কোন্ সভ্যতার বাণিজ্য চলত?
Answer:
মেসোপটেমিয়ার।
SHORT
2 marks
হরপ্পা সভ্যতার একটি সামুদ্রিক বন্দরের নাম করো।
Answer:
লোথাল।
SHORT
2 marks
পশু পরিবেষ্টিত যোগী মূর্তিটি কোন্ দেবতার বলে মনে করা হয়?
Answer:
শিবের আদিরূপ বলে মনে করা হয়।
SHORT
2 marks
নতুন পাথরের যুগের একটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
Answer:
নতুন পাথরের যুগে মানুষ কৃষিকাজ করতে শিখেছিল।
SHORT
2 marks
লোথাল কোথায় অবস্থিত?
Answer:
ভোগাবোর নদীর তীরে।
SHORT
2 marks
কবে মেসোপটেমিয়ার সঙ্গে হরপ্পা সভ্যতার বাণিজ্যে ভাটা পড়েছিল?
Answer:
আনুমানিক ১৯০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের পর থেকে।
SHORT
2 marks
হরপ্পা নগরী কোন্ নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল?
Answer:
রাভি নদী।
SHORT
2 marks
হরপ্পা সভ্যতার লিপিতে কতকগুলি চিহ্ন ব্যবহার করা হত?
Answer:
প্রায় ৩৭৫ থেকে ৪০০টি।
SHORT
2 marks
সিন্ধুবাসীদের মাটির পাত্রগুলি কী রঙের হত?
Answer:
লাল ও কালো।
SHORT
2 marks
কোন ভাষার সঙ্গে হরপ্পা সভ্যতার ভাষার মিল চালু করা যায়?
Answer:
দ্রাবিড় ভাষার।
SHORT
2 marks
সিন্ধু লিপির পাঠোদ্ধার করা যায়নি কেন?
Answer:
সিন্ধু লিপির বর্ণমালা ছিল না এবং তা ছিল সাংকেতিক।
SHORT
2 marks
আধুনিক সাইনবোর্ডের মতো জিনিস হরপ্পা সভ্যতার কোথায় আবিষ্কৃত হয়েছে?
Answer:
ঢোলাবিরায়।
SHORT
2 marks
সিন্ধুলিপি পাঠোদ্ধার সম্ভব হলে কী সুবিধা হতে পারে?
Answer:
ভারতীয় উপমহাদেশের এবং হরপ্পা সভ্যতার অনেক অজানা তথ্য জানা যাবে।
SHORT
2 marks
আজ থেকে কত বছর আগে হরপ্পা সভ্যতা গড়ে উঠেছিল?
Answer:
প্রায় পাঁচ হাজার।
SHORT
2 marks
কার নেতৃত্বে হরপ্পা সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বের করার চেষ্টা শুরু হয়েছিল?
Answer:
জন মার্শাল-এর নেতৃত্বে।
SHORT
2 marks
হরপ্পা সভ্যতার কোথায় বোতাম আকারের সিলমোহর পাওয়া গেছে?
Answer:
লোথালে।
SHORT
2 marks
মহেনজোদারোর সিলমোহরে যোগীর মূর্তিটি কোন দেবতার বলে কল্পনা করা হয়?
Answer:
পশুপতি শিবের।
SHORT
2 marks
সিন্ধুলিপির একটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
Answer:
সিন্ধুলিপি ডানদিক থেকে বামদিকে লেখা হত।
SHORT
2 marks
মহেনজোদারো কথাটির মানে কী?
Answer:
মৃতের স্তূপ।
SHORT
2 marks
হরপ্পা সভ্যতায় মৃতদেহের মাথা কোন দিক করে শুইয়ে রাখা হত?
Answer:
উত্তরদিক করে।
LONG
5 marks
আদিম মানুষ কীভাবে সভ্য হল?
Answer:
পুরোনো পাথরের যুগের শেষদিক থেকে কৃষিকাজ, স্থায়ী বসতবাড়ি এবং পশুপালনের ফলে বদলে যায় মানুষের জীবনযাপনের নানা দিক। মানুষ নিজের প্রয়োজনে বুদ্ধি আর পরিশ্রমের জোরে এই বদল ঘটায়। এইভাবেই আদিম মানুষ সভ্য হয়ে ওঠে।
LONG
5 marks
আদিম মানুষের যুগ থেকে ইতিহাস এসে পড়ল সভ্যতার যুগে- বিশ্লেষণ কর।
Answer:
আদিম মানুষ যেদিন থেকে জোট বেঁধে বাস করতে শুরু করে, সেদিন থেকেই সভ্যতার সূচনা হয়। এরপর ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে সমাজ। কৃষি, পশুপালন ও বাণিজ্য-এমনই বিভিন্ন ধরনের জীবিকার সাহায্যে মানুষ উপার্জন করা শুরু করে। উন্নত হয় মানুষের জীবনযাত্রা। এরপর ক্রমে তারা লিখতে শেখে, গড়ে ওঠে গ্রাম ও নগর। এভাবেই তৈরি হয় সভ্যতা ও সংস্কৃতি এবং আদিম মানুষ হয়ে ওঠে সভ্যতারই অগ্রদূত।
LONG
5 marks
কীভাবে চালু হয় নিয়ম বা নিয়মের শাসন?
Answer:
আদিম মানুষ নিজেদের নিরাপত্তার কারণে জোট বেঁধে বাস করতে থাকে। ধীরে ধীরে তারা নিজেরাই নিজেদের নিয়মকানুন ঠিক করে। তবে আদিম মানুষের মধ্যে বিবাদ বাঁধলেও তারা নিজেরাই তা মিটিয়ে নিত। ঠিক হয় সবাই নিয়ম মেনে চলবে। এভাবেই চালু হয় নিয়ম বা নিয়মের শাসন।
LONG
5 marks
সভ্যতার নানা দিক গুলি কি কি?
Answer:
সভ্যতার নানা দিক গুলি হল স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শিখে উন্নত গ্রাম ও নগর জীবন শুরু করা। উন্নত শাসন কাঠামো গড়ে তোলা ও লিপির ব্যবহার শেখা সভ্যতার পরিচয়। শিল্প ও স্থাপত্যের নমুনা সভ্যতার একটি বড় দিক।
LONG
5 marks
মেহেরগড় সভ্যতার তিনটি পর্ব উল্লেখ কর।
Answer:
মেহেরগড় সভ্যতার তিনটি পর্ব ছিল, যথা- • প্রথম পর্ব, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৭০০০ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ অব্দ পর্যন্ত। • দ্বিতীয় পর্ব, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৪০০০ অব্দ পর্যন্ত। • তৃতীয় পর্ব, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৪৩০০ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৩৮০০ অব্দ পর্যন্ত।
LONG
5 marks
মেহেরগড় সভ্যতার কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
Answer:
মেহেরগড় সভ্যতার অন্যতম কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হল- • মেহেরগড় সভ্যতা ছিল একটি গ্রামীণ কৃষিভিত্তিক সভ্যতা। • তামা ও পাথর দুটিরই ব্যবহার হত মেহেরগড় সভ্যতায়। তাই এই সভ্যতাকে তামা-পাথরের সভ্যতা বলা হয়। • মেহেরগড় সভ্যতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল এর সমাধিক্ষেত্র।
LONG
5 marks
মেহেরগড় সভ্যতার প্রথম পর্বের পরিচয় দাও।
Answer:
মেহেরগড় সভ্যতার প্রথম পর্বে মেহেরগড়বাসী গম ও যব ফলাতে জানত। গৃহপালিত পশু ছিল ছাগল, ভেড়া ও কুঁজওয়ালা ষাঁড়। মেহেরগড়ে পাথরের জাঁতা বা শস্য পেষার যন্ত্র মিলেছে। জানা গেছে এই সভ্যতার প্রথম পর্বে মেহেরগড়বাসী পাথরের ছুরি ও পশুর হাড়ের যন্ত্রপাতি বানাতে পারত। মাটির বাড়িগুলিতে রোদে পোড়ানো ইটের ব্যবহার দেখা যায়। এই বাড়িগুলিতে একাধিক ঘর থাকত।
LONG
5 marks
মেহেরগড়ে বাড়িঘরগুলি কেমন ছিল?
Answer:
মেহেরগড়ে বাড়িঘর গুলি রোদে পোড়ানো ইট দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। বাড়িগুলিতে একাধিক ঘর ছিল। শস্য মজুত রাখার বাড়িগুলি ছিল সাধারণ বাড়ির থেকে অনেক বড়।
LONG
5 marks
মেহেরগড় সভ্যতার দ্বিতীয় পর্যায়টি সংক্ষেপে লেখ।
Answer:
মেহেরগড় সভ্যতার দ্বিতীয় পর্বে কৃষিকাজের ক্ষেত্রে গম ও যবের পাশাপাশি কার্পাস চাষেরও প্রমাণ মিলেছে। কাস্তের ব্যবহার করা হত। এই পর্বের প্রথম দিকে মাটির পাত্রগুলি হাতে করে তৈরি করা হত। দ্বিতীয় পর্বের একেবারে শেষের দিকে কুমোরের চাকার ব্যবহার শুরু হলে তাতে মাটির পাত্র তৈরি হতে থাকে। এই পর্বে মেহেরগড়বাসী বিভিন্ন রকম পাথর ও শাঁখ দিয়ে গয়না তৈরি করতে শিখেছিল।
LONG
5 marks
মেহেরগড় সভ্যতার তৃতীয় পর্বের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
Answer:
কৃষিক্ষেত্রে এই পর্বে মেহেরগড়বাসী নানারকম গম এবং যব চাষ করত। কুমোরের চাকায় মাটির পাত্র তৈরির কৌশল বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। তৃতীয় পর্বে বসতি হিসেবে মেহেরগড় সভ্যতার আয়তন বাড়ে। তামার ব্যবহার শুরু হয়েছিল। পাথরের তৈরি জিনিসপত্রও এসময়ে ব্যবহার করা হত। শেষ পর্বে সিলমোহরের ব্যবহার শুরু হয়েছিল।
LONG
5 marks
মেহেরগড় সভ্যতার মাটির পাত্রগুলির বর্ণণা দাও।
Answer:
মেহেরগড় সভ্যতার তৃতীয় পর্যায়ে কুমোরের চাকা ব্যবহার করে মাটির পাত্র তৈরি করা হত। তৈরি পাত্রগুলি চুল্লিতে পোড়ানো হত এবং তারপর, তাতে নানারকম নকশা ও ছবি আঁকা হত। একরঙা, দুইরঙা ও বহুরঙা মাটির পাত্রের হদিসও পাওয়া গেছে।
LONG
5 marks
মেহেরগড় সভ্যতায় সমাধি কীভাবে দেওয়া হত লেখ।
Answer:
মেহেরগড় সভ্যতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল এর সমাধিক্ষেত্র। সমাধিতে মৃতদেহ সোজাসুজি বা কাত করে শুইয়ে দেওয়া হত। মৃতের সঙ্গে দেওয়া হত শাঁখ বা পাথরের গয়না, কুড়ল প্রভৃতি। সমাধিতে নানা গৃহপালিত পশুও দেওয়া হত। মৃতদেহকে লাল কাপড়ে জড়িয়ে লাল রং মাখিয়ে সমাধিস্থ করা হত।
LONG
5 marks
হরপ্পা সভ্যতা অনেকগুলি কেন্দ্র নিয়ে গড়ে উঠেছিল। এগুলির মধ্যে অন্তত চারটি স্থানের নাম লেখো।
Answer:
হরপ্পা সভ্যতার কয়েকটি কেন্দ্র হল- লোথাল, কালিবঙ্গান, ঢোলাবিরা, চানহুদারো।
LONG
5 marks
সিটাডেল কী?
Answer:
হরপ্পার নগরগুলির বসতি এলাকা দুভাগে বিভক্ত ছিল। একটি ছিল উঁচু ঢিবি এলাকা অপরটি ছিল নীচু এলাকা। নগরের উঁচু এলাকাগুলিকে প্রত্নতাত্ত্বিকরা সিটাডেল নাম দিয়েছেন। এগুলি সাধারণত নগরের উত্তর বা উত্তর-পশ্চিমদিকে অবস্থিত ছিল। সিটাডেলগুলিতে নগরের প্রধান বা বিশিষ্ট ব্যক্তিরাই বসবাস করত। এই এলাকা উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা থাকত।
LONG
5 marks
হরপ্পা সভ্যতার নগর পরিকল্পনা কেমন ছিল?
Answer:
হরপ্পার নগরগুলিতে বসতি অঞ্চল দুভাগে বিভক্ত ছিল। শহরের উঁচু এলাকা বা সিটাডেল অবস্থিত ছিল নগরের উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিকে। নীচু বসতি এলাকাটি অবস্থিত ছিল পূর্ব বা দক্ষিণ-পূর্ব অংশে। সিটাডেলগুলিতে নগরের প্রধান বা বিশিষ্ট ব্যক্তিরাই বসবাস করত। শহরের নীচু অংশে ছিল মানুষের আসল বসতি।
LONG
5 marks
হরপ্পা সভ্যতার ঘরবাড়ি কেমন ছিল?
Answer:
হরপ্পা সভ্যতায় ঘরবাড়িগুলি ছিল পোড়া ইটের তৈরি। হরপ্পা সভ্যতায় যেমন দোতলা তিনতলা বড়ো বাড়ি ছিল, তেমনই মাঝারি ও খুব ছোটো বাড়িও ছিল। বসত বাড়িগুলিতে বেশকিছু ঘর থাকলেও সেগুলিতে রান্নাঘর থাকত একটি করে, যা থেকে অনুমান করা হয় যে সেই সময়ে যৌথ পরিবারের অস্তিত্ব ছিল।
LONG
5 marks
হরপ্পা সভ্যতার রাস্তাঘাট কেমন ছিল?
Answer:
মহেনজোদারো ও হরপ্পার চওড়া, পাকা রাস্তাগুলি সাধারণত উত্তর-দক্ষিণ দিকে প্রসারিত ছিল। তুলনায় কম চওড়া রাস্তা ও সরু গলিগুলি ছিল পূর্ব-পশ্চিমে প্রসারিত। রাস্তাগুলির দুধারে বাঁধানো ফুটপাথও ছিল।
LONG
5 marks
হরপ্পা সভ্যতার পয়ঃপ্রণালী কেমন ছিল?
Answer:
মহেনজোদারোর নীচু এলাকায় প্রায় ২০০০ বাড়ির জন্য অন্তত ২৭ টি কুয়ো ছিল। তবে হরপ্পায় এত সংখ্যক কুয়ো না থাকলেও প্রতিটি বাড়িতে শৌচাগার ছিল। ঢাকা নর্দমার সাহায্যে সুপরিকল্পিত জলনিকাশি ব্যবস্থা ছিল হরপ্পায়। প্রতিটি বাড়ি থেকে ছোটো নালার জল গিয়ে মিশত বড় নর্দমাগুলিতে।
LONG
5 marks
হরপ্পা সভ্যতার সাধারণ মানুষের জীবিকা কি ছিল?
Answer:
হরপ্পা সভ্যতায় বাণিজ্যের উন্নতির জন্য বণিকদের অনেক মর্যাদা ছিল। এছাড়া বিভিন্ন কারিগড় ছিলেন। তবে সমাজে মজুর ও শ্রমিকদের অবস্থা বেশ খারাপ ছিল। তবে গ্রামীণ এলাকার মানুষের প্রধান জীবিকা ছিল কৃষিকাজ।
LONG
5 marks
হরপ্পা সভ্যতায় কি কি ফসল চাষ হত?
Answer:
হরপ্পা সভ্যতার মানুষ গম, যব, জোয়ার, বাজরা, নানারকম ডাল, সরষে ও ধান চাষ করত। তবে সব জায়গায় ধানের চাষ হত না। তুলো, তিল প্রভৃতি ফসলের চাষ হত।
LONG
5 marks
হরপ্পার মানুষের পশুপালন সম্পর্কে যা জান লেখো।
Answer:
হরপ্পার মানুষ গৃহ পালিত পশুর ব্যবহার জানত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ষাঁড়, ভেড়া ও ছাগলের মতো গবাদি পশু। উটের ব্যবহারও হরপ্পার লোকেরা জানত। ঘোড়ার ব্যবহার হরপ্পার মানুষেরা জানত। এছাড়া ঘুরে বেড়ানো পশুপালক গোষ্ঠী ছিল যারা ঘুরে ঘুরে পশু পালন করত।
LONG
5 marks
হরপ্পার মানুষদের পোশাক পরিচ্ছদ কেমন ছিল?
Answer:
হরপ্পা সভ্যতার বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রাপ্ত মূর্তিগুলি থেকে এই সভ্যতার অধিবাসীদের পোষাক-পরিচ্ছদ ও অলংকার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। নারী ও পুরুষের পোষাকে বিশেষ কোনো পার্থক্য ছিল না, উভয়েই ওপরের অংশটা শালের মতো এবং নিচের অংশটা ধুতির মত দেখতে পোষাক পরিধান করতো। পোষাক তৈরীর জন্য সুতি ও পশম ব্যবহার করা হতো। এই সভ্যতায় নারী-পুরুষ উভয়েই বিভিন্ন রকমের আংটি, গলার হার, কঙ্কন ইত্যাদি অলংকার ব্যবহার করত। অলংকার নির্মাণে সোনা, রুপোসহ অন্যান্য মূল্যবান ধাতু ও বিভিন্ন দামি পাথর ব্যবহার করা হতো।
LONG
5 marks
হরপ্পা সভ্যতার পাথর ও ধাতুর কারিগরি শিল্প সম্পর্কে যা জান লেখো।
Answer:
হরপ্পার কারিগরি শিল্পে পাথর ও ধাতু দুইয়েরই ব্যবহার হত। হরপ্পাবাসী লোহার ব্যবহার জানত না, তাই তারা কারিগরি শিল্পে তামা, কাসা ও ব্রোঞ্জ ধাতু ব্যবহার করত। এই সভ্যতায় তামা ও কাঁসার তৈরি ছুরি, কুঠার, বাটালি এবং মাটি ও ধাতুর তৈরি বাসনপত্র পাওয়া গেছে। জানা গেছে এই সভ্যতায় পাথরের ছুরি তৈরির কারখানা ছিল।
LONG
5 marks
হরপ্পা সভ্যতার মাটির পাত্রের বর্ণণা দাও।
Answer:
হরপ্পা সভ্যতায় নানা ধরনের মাটির পাত্র তৈরি হত। প্রতিদিনের ব্যবহার উপযোগী পাত্রই বেশি তৈরি করা হত এবং মাটির পাত্রগুলি পোড়ানোর ফলে সেগুলির রং হত লালচে। কিছু মাটির পাত্রের গায়ে চকচকে পালিশ বা উজ্জ্বল কালো রঙের নকশা আঁকা হত। প্রত্নতাত্ত্বিকরা এই ধরনের পাত্রগুলিকে "লালকালো মাটির পাত্র" বলে উল্লেখ করেছেন।
LONG
5 marks
হরপ্পার কাপড় বুনন শিল্প কেমন ছিল?
Answer:
মহেনজোদারোতে পুরোনো কাপড় তৈরির নিদর্শন মিলেছে। পাশাপাশি এই সভ্যতায় কাপড়ে সুতোর কাজ করা শিল্পেরও চল ছিল, যার প্রমাণ মেলে মহেনজোদারোয় প্রাপ্ত এক পুরুষ মূর্তির গায়ের পোশাক থেকে।
LONG
5 marks
হরপ্পা সভ্যতার গয়না শিল্পের বর্ণণা দাও।
Answer:
হরপ্পা সভ্যতার কারিগরি শিল্পের অন্যতম নমুনা অনেক রকম মালার দানা। হরপ্পা সভ্যতায় সোনা, তামা, শাঁখ, দামি-কমদামি পাথর, হাতির দাঁত প্রভৃতির দ্বারা মালার দানা তৈরি করা হত। নীলচে লাপিস লাজুলি পাথরও গয়না বানাতে লাগত।
LONG
5 marks
হরপ্পা সভ্যতার শিল্প, ভাস্কর্য্য সম্পর্কে যা জান লেখ।
Answer:
হরপ্পা সভ্যতায় পাথর, ধাতু ও পোড়ামাটির ভাস্কর্যের নজির পাওয়া যায়। একটি ব্রোঞ্জের তৈরী নারিমূর্তি পাওয়া গেছে মহেঞ্জোদাড়ো থেকে। ব্রোঞ্জের তৈরি কয়েকটি পশু-মূর্তি হরপ্পা সভ্যতায় পাওয়া গিয়েছে। নারী মূর্তি, পশু ও পাখির মূর্তিও পাওয়া গিয়েছে যা পোড়ামাটি দিয়ে তৈরি।
LONG
5 marks
হরপ্পা সভ্যতার বাণিজ্য সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ।
Answer:
হরপ্পা সভ্যতার ২ৃটি সিলমোহর মিলেছে মেসোপটেমিয়ায়। বোঝা যায় যে হরপ্পা ও মেসোপটেমিয়া উভয় সভ্যতার মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেন ছিল। হরপ্পা সভ্যতার যুগে পারস্য উপসাগরীয় এলাকার সমুদ্র বাণিজ্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। আসলে নদীর স্রোত ও হাওয়াকে কাজে লাগিয়ে নৌকার সাহায্যে নদীপথ ধরে বাণিজ্য চলত। বিদেশ থেকে হরপ্পা সভ্যতায় আমদানি করা হত সোনা, রুপা, তামা, দামি পাথর ও হাতির দাঁতের তৈরি চিরুনি প্রভৃতি। আর হরপ্পা থেকে রপ্তানি করা হত বার্লি, ময়দা, তেল ও পশমজাত দ্রব্য প্রভৃতি।
LONG
5 marks
হরপ্পা সভ্যতা ধ্বংসের প্রধান প্রধান কারণগুলি লেখ।
Answer:
• বন্যা: মহেনজোদারো নগরে বিরাট পাঁচিলের গায়ে কাদার চিহ্ন মিলেছে। মনে করা হয় বন্যার ফলেই সম্ভবত এই কাদা জমেছিল। হরপ্পা নদের এই বন্যায় মহেনজোদারোর ক্ষতি হয়েছিল। • বৃষ্টিপাত কমে যাওয়া: এশিয়া মহাদেশের অনেক জায়গাতেই বৃষ্টিপাত কমতে থাকে (খ্রিস্টপূর্ব ২২০০ অব্দ নাগাদ থেকে), ফলে এই সভ্যতার সমগ্র অঞ্চল জুড়ে শুষ্ক জলবায়ু দেখা যায়। শুষ্ক জলবায়ুর কারণে কৃষিকাজ সমস্যার মুখে পড়ে। • বাণিজ্যে ভাটা: মেসোপটেমিয়ার সঙ্গে হরপ্পার বাণিজ্যে ভাটা পড়েছিল। এর ফলে হরপ্পার অর্থনীতি সমস্যায় পড়ে। • নগর শাসনব্যবস্থার দুর্বলতা: ধীরে ধীরে হরপ্পার নগর শাসনব্যবস্থাও দুর্বল হয়ে পড়েছিল।
LONG
5 marks
হরপ্পা সভ্যতার লিপি কী?
Answer:
হরপ্পাবাসীরা লিখতে পারত। কিন্তু সেই লিপি আজ অবধি পড়া সম্ভব হয়নি। শুধু লিপি দেখে এই সভ্যতা সম্বন্ধে খানিকটা অনুমান করা গেছে। লিপিগুলিতে ৩৭৫ থেকে ৪০০টির মত চিহ্ন আছে। হরপ্পার লিপিগুলি লেখা হত ডানদিক থেকে বামদিকে। অনেকের অনুমান দ্রাবিড় ভাষার সঙ্গে হরপ্পার ভাষার মিল ছিল। পাত্র, সিলমোহর, তামার ফলকসহ নানা জিনিসের ওপরেই হরপ্পার লিপির খোঁজ পাওয়া গেছে। এই লিপিগুলি ঠিকমত ও সম্পূর্ণ পড়া গেলে ভারতীয় উপমহাদেশের অনেক অজানা কথা জানা যাবে।
LONG
5 marks
হরপ্পার সিলমোহর
Answer:
হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য সিলমোহর ব্যবহার করত। ভারতের বাইরে সুসা ও মেসোপটেমিয়াতেও হরপ্পার সিলমোহর আবিষ্কৃত হয়েছে। এই সিলমোহরগুলি তামা, ব্রোঞ্জ ও পোড়ামাটি ব্যবহার করে তৈরি হতো। বেশির ভাগ সিলমোহরে একশিং ওয়ালা একটি কল্পিত প্রাণীর ছবি দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া শিং ওয়ালা মানুষ, ষাঁড়, গাছ ও জ্যামিতিক নকশা খোদাই করা শিলমোহর পাওয়া গেছে।
LONG
5 marks
হরপ্পা সভ্যতার ধর্ম সম্পর্কে যা জান লেখো।
Answer:
প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, হরপ্পায় প্রাপ্ত পোড়ামাটির নারীমূর্তিগুলিকে হরপ্পা বা সিন্ধুর অধিবাসীরা মাতৃজ্ঞানে পূজা করত। হরপ্পা সভ্যতার মহেনজোদারোতে প্রাপ্ত এক সিলমোহরে এক যোগীমুর্তি ও তার পাশে গন্ডার, বাঘ, হাতি ও ষাঁড় দেখে মনে করা হয়, যে তারা আদি পশুপতি শিবের পূজা করত। হরপ্পায় পাওয়া সিলমোহরে ষাঁড়ের ছাপ দেখে মনে করা হয় যে, তারা ষাঁড়ের পূজা করত। তা ছাড়া সিলমোহর ও মাটির পাত্রে অশ্বত্থ গাছ ও পাতার ছবি দেখে মনে করা হয় যে, তারা গাছকে দেবতা হিসেবে পূজো করত।
LONG
5 marks
হরপ্পা সভ্যতায় নারীর অবস্থান কেমন ছিল?
Answer:
হরপ্পা সভ্যতার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক। এই সভ্যতার বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রাপ্ত অর্ধনগ্ন নারীমূর্তিগুলি দেখে ঐতিহাসিকরা অনুমান করেন যে এই সভ্যতায় নারীরা যথেষ্ট স্বাধীনতা ভোগ করতো এবং দেবী মূর্তিপূজার প্রচলন থেকে অনুমান করা হয় এই সভ্যতায় নারীদের বিশেষ সম্মান ছিল।