সাহিত্য পরিচয়

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর আধুনিক বাংলা গদ্যের জনক হিসেবে পরিচিত।

চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন এবং আদি যুগের প্রতিনিধি।

উনিশ শতকে বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণের সূচনা হয় এবং আধুনিক বাংলা সাহিত্যের বিকাশ ঘটে।

বাংলা সাহিত্যের প্রধান যুগগুলি হল: আদি যুগ (৯৫০-১২০০), মধ্য যুগ (১২০১-১৮০০), আধুনিক যুগ (১৮০১-বর্তমান)।

চর্যাপদ হল বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন। এগুলি বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যদের রচিত গীতিকবিতা।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যের জনক। তিনি বাংলা গদ্যে বিরামচিহ্নের প্রচলন করেন এবং গদ্যভাষাকে সহজ ও সাবলীল করে তোলেন।

বাংলা সাহিত্যের আদি যুগ (৯৫০-১২০০ খ্রিস্টাব্দ) এর প্রধান বৈশিষ্ট্য:

১. ধর্মীয় চেতনা: এ যুগের সাহিত্য মূলত ধর্মীয় ভাবধারায় পূর্ণ ছিল।

২. চর্যাপদ: বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যদের রচিত গীতিকবিতা, যা বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন।

৩. গুহ্য ভাষা: চর্যাপদে সাঁধ্য ভাষার ব্যবহার।

৪. প্রকৃতি চিত্রণ: সমকালীন সমাজ ও প্রকৃতির সুন্দর বর্ণনা।

৫. সামাজিক জীবনের প্রতিফলন: তৎকালীন বাংলার সামাজিক জীবনের চিত্র।

বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণের প্রভাব:

১. ভাষার উন্নতি: আধুনিক বাংলা গদ্যের বিকাশ এবং ভাষার মার্জনা।

২. বিষয়বস্তুর বৈচিত্র্য: ধর্মের পাশাপাশি সমাজ, রাজনীতি, বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে সাহিত্য রচনা।

৩. নতুন সাহিত্য ফর্ম: উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটকের বিকাশ।

৪. যুক্তিবাদ: অন্ধ বিশ্বাসের পরিবর্তে যুক্তিবাদী চিন্তাধারার প্রসার।

৫. সমাজ সংস্কার: সমাজের কুসংস্কার ও অনাচারের বিরুদ্ধে লেখকদের কলম।

৬. জাতীয়তাবোধ: স্বদেশপ্রেম ও জাতীয় চেতনার বিকাশ।

বাংলা সাহিত্যের মধ্য যুগের প্রধান কবি ও রচনা:

১. জয়দেব: গীতগোবিন্দ কাব্যের রচয়িতা। রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীলার অপূর্ব বর্ণনা।

২. বড়ু চণ্ডীদাস: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের রচয়িতা। রাধা-কৃষ্ণের প্রেমকাহিনী।

৩. মুকুন্দরাম চক্রবর্তী: চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের রচয়িতা। কালকেতু-ফুল্লরার কাহিনী।

৪. ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর: অন্নদামঙ্গল কাব্যের রচয়িতা। সমাজচিত্র ও রসের মিশ্রণ।

৫. কৃত্তিবাস ওঝা: বাংলা রামায়ণের অনুবাদক।

৬. কাশীরাম দাস: মহাভারতের বাংলা অনুবাদক।