কবিতা

কবিতার প্রধান উপাদান হল ছন্দ, অলংকার, ভাব - এই সবগুলিই।

বাংলা কবিতার ছন্দ ৩ প্রকার: স্বরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত ও অক্ষরবৃত্ত।

উপমা, রূপক, উৎপ্রেক্ষা সবগুলিই কবিতার অলংকার।

কবিতা হল ছন্দোবদ্ধ সাহিত্য যেখানে কবির ভাব ও অনুভূতি সুন্দরভাবে প্রকাশ পায়।

ছন্দ হল কবিতার একটি বিশেষ লয় বা তাল যা কবিতাকে সংগীতময় করে তোলে।

অলংকার ব্যবহার করা হয় কবিতাকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য।

কবিতার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি:

১. ছন্দ: কবিতায় একটি বিশেষ লয় বা তাল থাকে।

২. ভাষার সৌন্দর্য: সুন্দর ও আকর্ষণীয় ভাষার ব্যবহার।

৩. অলংকার: উপমা, রূপক ইত্যাদি অলংকারের ব্যবহার।

৪. আবেগ: কবির মনের ভাব ও অনুভূতির প্রকাশ।

৫. কল্পনা: কবির কল্পনাশক্তির প্রকাশ।

৬. সংক্ষিপ্ততা: অল্প কথায় গভীর ভাব প্রকাশ।

বাংলা কবিতার ছন্দের প্রকারভেদ:

১. স্বরবৃত্ত ছন্দ:
- প্রতি পংক্তিতে ৪টি পর্ব
- প্রতি পর্বে ৪টি মাত্রা
- উদাহরণ: "আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে"

২. মাত্রাবৃত্ত ছন্দ:
- প্রতি পংক্তিতে ৬-৮ মাত্রা
- মাত্রা গণনার নিয়ম আছে
- উদাহরণ: "বিদায় হে বিদায়"

৩. অক্ষরবৃত্ত ছন্দ:
- প্রতি পংক্তিতে ১৪ মাত্রা
- ৮+৬ বা ৬+৮ ভাগে বিভক্ত
- উদাহরণ: "সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি"

কবিতায় অলংকারের ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তা:

১. উপমা অলংকার:
- দুটি বস্তুর মধ্যে তুলনা
- উদাহরণ: "মুখ চাঁদের মতো"

২. রূপক অলংকার:
- একটি বস্তুকে অন্য বস্তু বলে দেখানো
- উদাহরণ: "জীবন নদী"

৩. উৎপ্রেক্ষা অলংকার:
- সন্দেহ বা সম্ভাবনা প্রকাশ
- উদাহরণ: "যেন অরুণ উঠেছে"

প্রয়োজনীয়তা:
- কবিতাকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে
- ভাষার শক্তি বৃদ্ধি করে
- পাঠকের মনে গভীর প্রভাব ফেলে
- কবির কল্পনাশক্তি প্রকাশ করে